Chris Cairns : আর নিজের পায়ে হাঁটতে পারবেন না ক্রিস কেয়ার্নস?
নিজের পায়ে আর দাঁড়াতে পারবেন না ক্রিস কেয়ার্নস? এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন একসময়ের বিশ্ব কাঁপানো নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। অস্ত্রোপচার চলার সময়ই স্ট্রোক হয়। তার ফলে প্যারালাইসিসের কবলে পড়ছেন। কেয়ার্নেস দুই পা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে গেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।নিউজিল্যান্ড ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবার অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করেন ক্রিস কেয়ার্নস। সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রান বাঁচানোর জন্য সিডনিতে নিয়ে এসে দ্রুত অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তিনি ক্যানবেরা ফিরে এসেছেন। কিন্তু দুই পা পক্ষাগ্রস্থ হয়ে পড়ায় কেয়ার্নসের স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকন্ঠা থেকেই গেছে।আরও পড়ুনঃ ইতালিয়ান ফুটবলে সি আর সেভেন যুগের পরিসমাপ্তি, যোগ দিচ্ছেন ম্যান ইউতেকেয়ার্নসের আইনজীবী অ্যারন লয়েড বলেছেন, কেয়ার্নসকে বাঁচাতে জরুরিভিত্তিতে হৃদযন্ত্রে সার্জারি করতে হয়েছিল সিডনিতে। সার্জারি সময় আবার মেরুদণ্ডে স্ট্রোক হয়। এতেই তাঁর দুই পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। কেয়ার্নসের শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক হলেও স্থিতিশীল। অস্ট্রেলিয়ারই এক নামী স্পাইনাল হাসপাতালে কেয়ার্নসের রিহ্যাব চলবে বলে জানিয়েছেন লয়েড।আরও পড়ুনঃ চেতেশ্বর পুজারার ব্যাটে সমালোচকদের জবাবকেয়ার্নসের অসুস্থতাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে অ্যাওর্টিক ডিসেকশন। যে কারণে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রেখে তাঁকে সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে শিরার মাধ্যমে হৃদযন্ত্র থেকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে যায় সেই অ্যাওর্টার ভিতরের স্তর ছিঁড়ে গিয়েছিল। এর ফলে প্রাণ সংশয় তৈরি হয় কেয়ার্নসের। সিডনির হাসপাতালে জরুরীকালীন অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচানো গেলেও পুরো সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহেই লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম থেকে বের করে আনা হয় কেয়ার্নসকে। তিনি পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন এবং কথাবার্তাও বলতে শুরু করেছেন।আরও পড়ুনঃ আবার সেঞ্চুরি রুটের, হেডিংলেতে চালকের আসনে ইংল্যান্ড১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক কেয়ার্নসের। ২০০৬ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২টি টেস্ট, ২১৫টি একদিনের ম্যাচ ও ২টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিস কেয়ার্নসের বাবা ল্যান্স কেয়ার্নসও নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। ২০০৮ সালে কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে তাঁকে দীর্ঘ আইনি রাস্তায় হাঁটতেও হয়। ২০১২ সালে তিনি ললিত মোদীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জেতেন লন্ডনের আদালতে। এরপর লু ভিনসেন্ট ও ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ফের কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তোলেন। মামলার খরচ জোগাড়ে তাঁকে অকল্যান্ড কাউন্সিলে ট্রাক চালানো ও বাস শেল্টার পরিষ্কারের কাজ নিতেও হয়েছিল।